না, স্ত্রীর দুধ পান করলে কি স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে না। এটা ভুল একটি ধারণা। স্ত্রীর দুধ পান করলে সে হারাম হয়ে যাবে বা তার সাথে বিবাহ বন্ধন ছিন্ন হয়ে যাবে, অনেকে বলে অটোমেটিক তালাক হয়ে যাবে। এটা হচ্ছে একটি ভুল প্রচলিত ভুল মাসআলা।
প্রকৃত কথা হচ্ছে স্ত্রীর দুধ যদি স্বামীর পান করে তাহলে তার স্ত্রী তালাক হবে না। তবে একজন স্বামী হিসেবে এটা খেয়াল রাখতে হবে যে, তার স্ত্রীর স্তনের দুধ হচ্ছে তার সন্তানের খাদ্য। সে সন্তানের খাদ্যের মধ্যে ভাগ বসানো উচিত হবে না।
অনেক বিবাহিত দম্পতি সেক্স ফেন্টসির কারণে এটা করে থাকেন। যেভাবেই হোক উত্তম হচ্ছে থেকে বিরত থাকা। আর যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর স্তন থেকে দুধ খেয়ে ফেলেন তাহলে এটা তার বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে কোন প্রভাব তৈরি করবে না।
কখন স্ত্রীর দুধ পান করলে কি স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে ?
আসলে স্ত্রী তালাক হওয়ার বিষয়ট স্ত্রীর দুধ পান করার সাথে কোনো সম্পর্ক রাখে না। তবে স্ত্রী হারাম হওয়া একটি বিষয় রয়েছে। যদি কোনো ব্যক্তি শিশু অবস্থায় কোনো মহিলা স্তন থেকে দুধ পান করে তাহলে এই মহিলা তার জন্য দুধ মা হিসাবে গণ্য হয়ে যায়। এটি কুরআন এবং হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
পরবর্তীতে যখন এই শিশুটি বড় হবে তখন যদি কোন কারণে (ঐ মহিলাকে যার দুধ সে শিশুকালে পান করেছে) বিয়ে করার প্রয়োজন হয়, তাহলে এই মহিলাকে সে বিবাহ করতে পারবে না। এটা হারাম হবে। কেননা ঐ মহিলা তা দুধ মা। ইসলাম দুধ মা কে আপন মায়ের মর্যাদা দিয়েছে।
আবার এটা হতে পারে যদি তার সেই দুধ মায়ের কোনো মেয়ে থাকে আর এই মেয়েকে সে বিয়ে করতে চায়, তাহলে এটা তার জন্য হারাম হবে। অর্থাৎ দুধ মেয়ের মেয়েকে সে বিয়ে করতে পারবে না।
এর বিপরীত হতে পারে যদি কোন মেয়ে শিশু কোনো মহিলার দুধ পান করে তাহলে যে নারী তাকে দুধ পান করিয়েছে তার কোনো ছেলের বউ হিসাবে এই মেয়েকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করানো যাবে না। এটি তার জন্য হারাম। কেননা এই মেয়ে এবং ছেলের মধ্যে দুধ ভাই ও দুধ বোনের সম্পর্ক বিরাজমান।
কত বছর বয়সে দুধ পান করলে বিয়ে হারাম হবে?
কত বছর বয়সে একজন শিশু দুধ পান করলে এই মহিলা তার জন্য দুধ মা হিসেবে গণ্য হবে? এর উত্তর হচ্ছে দুই বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত যদি কোন সন্তান কোনো নারীর স্তন থেকে দুধ পান করে তাহলে সেই নারী তার জন্য চিরতরে হারাম হয়ে যাবে। তাকে বিয়ে করতে পারবে না। সেই নারীর কোনো সন্তানের সাথেও তার বিয়ে বৈধ হবে না।
তবে কোনো কোনো মত অনুযায়ী তিন বছরের কথা আছে আবার কোনো কোনো মত অনুযায়ী আড়াই বছরের কথা রয়েছে। যদি এই সময়ের ভিতরে কোনো বাচ্চা কোনো মহিলার স্তন থেকে দুধ পান করে তাহলে সেই মহিলা তার জন্য দুধ মা হিসেবে গণ্য হবে।
কেন স্ত্রীর দুধ পান করলে তালাক হবে না?
স্ত্রীর দুধ পান করলেই সে তালাক না হওয়ার বিষয়টি যেহেতু কুরআন এবং হাদিসে স্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই, তাই এটা আমরা বলতে পারিনি যে কোনো স্বামী তার স্ত্রীর দুধ পান করলে সেই স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে।
ইসলাম মুসলিমদের জন্য যৌন জীবনে ব্যাপক স্বাধীনতা দান করেছে। কেবল কিছু ক্ষেত্রে ইসলাম বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যাতে মুসলিমরা তাদের যৌনজীবনে সেগুলো মেনে চলে। তার একটি হচ্ছে পায়ু পথে সঙ্গম করা বা অ্যনাল সেক্স আর অন্যটি হচ্ছে স্ত্রীর বাচ্চা প্রসব পরবর্তী ৪০ দিন সময়ের মধ্যে সঙ্গম করা। এ ছাড়া স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সবকিছুই বৈধ রয়েছে।
তবে এখানে কিছু উত্তম চরিত্র ও শিষ্টাচারের বিষয়ে রয়েছে। তার মধ্যে থেকে রয়েছে ওরাল সেক্স ইত্যাদি।
কেন স্বামী তার স্ত্রীর দুধ পান করে?
অনেক কারণে তাদের স্ত্রীদের স্তন থেকে দুধ পান করেন। কেউ কেউ করেন কেবল যৌন ফ্যান্টাসির কারণে।
কেউ করেন স্ত্রী স্তনের দুধ তার সন্তান খেয়ে শেষ করতে পারেনা তখন অবশিষ্ট দুধগুলো স্ত্রীর স্তনে জমে থেকে সমস্যা সৃষ্টি করে। আবার অনেকে তাদের স্ত্রীর স্তন থেকে দুধ পান করেন তাদের সন্তান মারা যায়, তখন স্ত্রীর স্তনে দুধগুলো জমে থাকে, যেটা তার জন্য অস্বস্তিকর।
বিভিন্ন কারণে স্বামীরা তাদের স্ত্রীর স্তন থেকে দুধ পান করে থাকেন। যে কারণেই স্ত্রীর দুধ পান করুক না কেন এতে তালাক হয়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।