মেয়েদের দুধ কি ছেলেরা খেতে পারে? ২ টি হালাল উপায়

না, মেয়েদের দুধ ছেলেরা খেতে পারে না। কেননা প্রকৃতপক্ষে মেয়েদের বুকের দুধ হচ্ছে শিশুদের খাদ্য। বড়দের জন্য সেই দুধ নয়। যদি বড় কোন ব্যক্তি মেয়েদের স্তনের দুধ খায় তাহলে এটা হারাম হবে। তবে দুটি ক্ষেত্রে মেয়েদের দুধ ছেলেরা পেতে পারবে। নিচে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছি।

কখন মেয়েদের দুধ ছেলেরা খেতে পারে?

মেয়েদের দুধ ছেলেরা খেতে পারে যখন ছেলেরা শিশু বয়সে থাকবে। অর্থাৎ একজন ছেলে শিশু যখন দুই বছর বা তিন বছর থেকে কম বয়সী থাকবে তখন সে যে কোনো নারীর স্তন থেকে দুধ পান করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে যে নারীর স্তন থেকে সে দুধ পান করবে সেই নারী তার জন্য দুধ মা সাব্যস্ত হবে।

তবে যে নারীর স্তন থেকে কোন শিশু তার শিশু কালে দুধ পান করেছে, সেই শিশু বড় হয়ে উক্ত নারীর কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না। কেননা এই নারীর আপন মেয়ে তা দুধ বোন হিসেবে সাব্যস্ত হবে। আর ইসলামে দুধ ভাই ও দুধ বোনের মধ্যকার সম্পর্ক আপন ভাই বোনের মতোই। তারা পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন না।

একইভাবে যদি কোনো মেয়ে শিশু কোনো নারীর স্তন থেকে দুধ পান করে থাকে, তাহলে সে যখন যৌবনের উপনীত হবে তখন শিশুকালে দুধ পান করেছে যে নারীর স্তন থেকে সেই নারীর কোন ছেলের সাথে এই মেয়ের বিবাহ দেওয়া যাবে না। এগুলো ইসলামে চূড়ান্ত হারাম। কুরআন এবং হাদিসে এর পক্ষে স্পষ্ট প্রমাণ দলিল রয়েছে।

কাজেই ছেলেরা মেয়েদের স্তন থেকে দুধ বার করতে পারবে কিন্তু সেটা শিশু কালে। আর শিশুকালে দুধ পান করলে পরবর্তীতে যে বিধানগুলো তাদের উপর আরোপ হবে সেগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

বড় ছেলেরা যখন মেয়েদের দুধ খেতে পারে

ছেলেরা বড় হয়ে যাওয়ার পর মেয়েদের স্তন থেকে দুধ পান করার হালাল কোনো উপায় আসলে নেই। তবে একটি ক্ষেত্রে যদি বিবাহিত পুরুষ তার আপন স্ত্রীর স্তন থেকে দুধ পান করে নেয় তাহলে এটা তার জন্য হালাল রয়েছে। উলামায়ে কেরামের মতামত হচ্ছে কোন স্বামী তার স্ত্রীর স্তন থেকে দুধ পান করা এটি একটি অনুত্তম কাজ। এ থেকে বিরত থাকা অবশ্যই প্রশংসনীয়।

কিন্তু যৌন ফ্যান্টাসি বা যৌনতার মোহিত হয়ে অনেককে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং যৌনতা সুখে পাগল হয়ে স্ত্রী দুধ পান করা থেকে নিয়ে অনেক কিছু করে ফেলেন যেটা স্বাভাবিক অবস্থায় নিজের জন্য অস্বস্তিকও মনে হয়। কিন্তু চরম মুহূর্তে তারা সেগুলো অবলীলায় করে ফেলেন। এটি আসলে দোষে কিছু নয়।

কেননা স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে সব প্রকাশ যৌনতা হালাল রয়েছে। কেবল এনাল সেক্স ও স্ত্রী সন্তান প্রসবের পরবর্তী ৪০ দিন পর্যন্ত সেক্স থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া স্বামী এবং স্ত্রী সকল উপায়ে তাদের জন্য যৌন তৃষ্ণা নিবারণ করতে পারেন। সেখানে চরম উত্তেজনা বসত যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীর থেকে দুধ পান করে ফেলে তাহলে তাকে নিন্দা করার অবকাশ নেই।

যখন মেয়েদের দুধ খাওয়া হারাম

বিশ্বের অনেক দেশ রয়েছে যেখানে মেয়েরা তাদের স্তন থেকে দুধ সংগ্রহ করে সেগুলো বিভিন্ন দ্রাতব্য সংস্থায় দান করে দেন। অতঃপর সেই দাতব্য সংস্থাগুলো নারীদের এই দুধ বিভিন্ন উপায়ে মানুষের মধ্যে বিলি করে থাকে। এটা স্পষ্ট তো হারাম একটি কাজ। কেননা নারীদের ইসলাম অত্যন্ত সম্মানিত জাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

যখন সেই নারী তার আপন স্তনের দুধ বিভিন্ন ভাবে মানুষের মধ্যে বিলি করে তখন এতে তার সম্মানহানি ঘটে এবং তার ইসলামিক শিক্ষা পরিপন্থী হয়। আবার আমরা দেখেছি অনেক মেয়ে বিয়ের আগেই তাদের বয়ফ্রেন্ডকে তাদের স্তন থেকে দুধ পান করা সুযোগ দান করে। এটি খুবই গর্বিত একটি কাজ।

নির্লজ্জতা চূড়ান্ত পর্যায়ে যখন মানুষ উপনীত হয় তখনই কেবল তাদের দ্বারা এ কাজ সংগঠিত হওয়া সম্ভব। ইসলাম যৌনতাকে একটি মার্জিত ও সম্মানিত আসনে উপনীত করেছে। চতুষ্পদ জন্তুর মত যারা যৌন জীবন উপভোগ করতে চায় তারা ভালো মুসলিম হওয়া হতো বহু দূরের কথা, মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতাও তাদের মধ্যে নেই। তারা হচ্ছে সেই চতুষ্পদ জন্তু জানোয়ারের মতো।

Leave a Comment