স্বামীর যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য স্ত্রীর স্তনের দুধ চোষা হারাম নয়। এমন ক্ষেত্রে স্ত্রীর দুধ যদি স্বামীর পেটে যায়, তবে এতে কোনো সমস্যা নেই, এবং স্ত্রী স্বামীর জন্য তা হারাম হয় না।
স্তনের দুধ গেলে স্ত্রী হারাম হবে কিনা?
যদি স্ত্রীর দুধ রতিক্রিয়ার সময় স্বামীর পেটে চলে যায়, তবে স্ত্রী স্বামীর জন্য হারাম হবে না। কারণ, দুধ পান করে ‘মা’ হিসেবে স্বীকৃত হওয়ার জন্য দুটি শর্ত রয়েছে: পাঁচবার ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দুধ পান করা। (ii) দুই বছরের মধ্যে দুধ পান করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন,
“আমি মানুষকে তার পিতামাতার সাথে সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। মা সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে এবং দুই বছর পূর্ণ হয় তার দুধ ছাড়াতে।” (সূরা লুকমান: ১৪)
“মায়েরা তাদের সন্তানদের দুই বছর পূর্ণ দুধ খাওয়াবেন, যদি কেউ দুধ খাওয়ানোর সময় পূর্ণ করতে চায়।” (সূরা বাকারা: ২৩৩)
নৈতিক ও আবেগগত দিক
কোরআন স্পষ্টভাবে স্বামীর স্ত্রীর দুধ পান সম্পর্কে কিছু বলে না, তবে একটি মেয়ের দুধের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করে:
“মায়েরা তাদের সন্তানদের দুই বছর পূর্ণ দুধ খাওয়াবেন, যদি কেউ দুধ খাওয়ানোর সময় পূর্ণ করতে চায়।” (কোরআন ২:২৩৩)
এই আয়াতটি জোর দিয়ে বলে যে মায়ের দুধ প্রধানত তার সন্তানের জন্য, স্বামীর জন্য নয়। ইসলামিক স্কলারগণ সাধারণত একমত যে মহিলার দুধ তার শিশুর পুষ্টির জন্য, তার বৃদ্ধির জন্য এবং উন্নয়নের জন্য।